দিনে অন্তত ১০-১৫ গ্রাম রসুন খাওয়া ভালো। সাধারণত তরি-তরকারিতে একটুখানি রসুন না দিলে যেন রান্নাই হয় না। স্বাদ বাড়ানোর জন্য এই রসুনের জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু শুধুই কি স্বাদের জন্য খাবেন? অন্তত ১১টি অবিশ্বাস্য ভেষজ গুণের কথা জানলে নিয়মিতই আপনি রসুন খেতে চাইবেন। ডায়ালাইল সালফাইডের মতো চমৎকার ওষুধি উপাদানের এই খাবারে কী সেই ১১ গুণ?
১. উচ্চরক্তচাপ কমায় হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের অন্যতম কারণ উচ্চরক্তচাপ। প্রচলিত ওষুধের মতোই রসুন রক্তচাপের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। বলা হয়ে থাকে, ৬০০ থেকে ১৫০০ মিলিগ্রাম রসুন ২৪ সপ্তাহেই উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে ফেলতে পারে। তাই সুস্থ থাকতে প্রতিদিন অন্তত চার কোয়া রসুন খান।
২. চর্বি ঝরিয়ে দেয় যদি আপনার দেহে উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল বা চর্বি জমে থাকে, তাহলে রসুনের শরণাপন্ন হোন। এটি আপনার শরীর থেকে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল বের করে ফেলে।
৩. মস্তিষ্কের সুস্থ বিকাশ ঘটায় রসুনের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে অক্সিডেটিভ ড্যামেজ থেকে রক্ষা করে। অর্থাৎ শরীরের অক্সিডেশন বা জারণ প্রক্রিয়াকে কমাতে সাহায্য করে এবং কোষকে স্বাস্থ্যকর রাখে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যও উন্নত করে। রসুন মস্তিষ্কের রোগ আলঝেইমার বা স্মৃতিভ্রংশ ও ডিমনেশিয়া বা স্মৃতিভ্রম প্রতিরোধ করে।
৪. আয়ু বাড়ায় স্বাস্থ্যকর গুণাবলী থাকায় রসুন মানুষকে বেশি বাঁচতে সাহায্য করে। উচ্চরক্তচাপ ও কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ বা ইমিউন সিস্টেমকে সচল রাখে। বিশেষ করে বয়স্ক রোগীদের জন্য রসুন বেশ উপকারী। দিনে অন্তত ১০-১৫ গ্রাম রসুন খাওয়া ভালো। প্রতীকী ছবি
৫. কর্মক্ষমতা বাড়ায় রসুন ক্লান্তি দূর করে শরীরে কাজ করার ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। যাদের হৃদরোগ রয়েছে, তাদের হার্টরেট কমাতে সাহায্য করে এবং দুর্বলতা কাটিয়ে তোলে।
৬. ধাতুর বিষক্রিয়া প্রতিহত করে রসুন শরীরকে ভারী ধাতুর বিষক্রিয়া থেকে রক্ষা করে। এসব ধাতু অঙ্গের ক্ষতি করে থাকে। একটি গবেষণায় দেখা যায়, রসুন গ্রহণকারীদের ভারী ধাতুর বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। এটি একইসঙ্গে মাথা ব্যথা উপশমেও উপকারী।
৭. হাড় শক্তিশালী করে একটি গবেষণায় দেখা যায়, ২ গ্রাম কাঁচা রসুন মেনোপজাল (মাসিক ঋতুচক্রের শেষ সীমায় থাকা) নারীদের ইস্ট্রোজেনের (জরায়ু, স্তন ও প্রজনন অঙ্গের গঠনের ভূমিকা রাখে এমন হরমোন) অভাব দূর করে। এটি হাড়ের ক্ষয় কমাতে সাহায্য করে। বিশেষ করে নারীদের হাড়ের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় রসুন কাজে লাগে।
৮. ছত্রাক সংক্রমণের বিরুদ্ধে কাজ করে রসুন ছত্রাকের সংক্রমণে প্রতিষেধকরূপে কাজ করে। আক্রান্ত স্থানে রসুনের তেল অথবা জেল ব্যবহারে ফল পাওয়া যায়। মুখ ও ঠোঁটের ক্ষতেও রসুনের পেস্ট ব্যবহার করে উপকার পাওয়া যায়।
৯. অ্যালার্জি প্রতিরোধ করে রসুন দেহের জীবাণুনাশক হিসেবেও কাজ করে। অ্যালার্জিজনিত শ্বাসপ্রশ্বাসের প্রদাহ কমাতেও রসুন কাজ করতে পারে। এছাড়াও ফুসকুড়ি, ছোট কামড় ও চুলকানির মতো সমস্যাগুলো থেকে পরিত্রাণ পেতে পারেন রসুনের মাধ্যমেই।
১০. হজমে সাহায্য করে রসুন পাকস্থলীর ঝিল্লিকে উত্তেজিত করে, যার ফলে দ্রুত হজম হতে পারে। রসুন লিভার থেকে টক্সিন (অস্বাস্থ্যকর খাবারের ফলে শরীরে জমা হওয়া অতিরিক্ত বিষ) বের করে দিতে সাহায্য করে।
১১. গড় পুষ্টিগুণ রসুনে নানা পুষ্টিগুণের মধ্যে রয়েছে ম্যাঙ্গানিজ ২৩ শতাংশ, ভিটামিন বি৬ ১৭ শতাংশ, ভিটামিন সি ১৫ শতাংশ, সেলেনিয়াম ৬ শতাংশ এবং ফাইবার ০.৬ গ্রাম। পুষ্টিগুণ বিবেচনায় দিনে অন্তত ১০-১৫ গ্রাম রসুন খাওয়া ভালো। তবে ২০ গ্রামের বেশি খাওয়া ঠিক নয়। অতিরিক্ত রসুন গ্রহণের ফলে শরীরে বিষাক্ততা তৈরি হতে পারে।
১. উচ্চরক্তচাপ কমায় হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের অন্যতম কারণ উচ্চরক্তচাপ। প্রচলিত ওষুধের মতোই রসুন রক্তচাপের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। বলা হয়ে থাকে, ৬০০ থেকে ১৫০০ মিলিগ্রাম রসুন ২৪ সপ্তাহেই উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে ফেলতে পারে। তাই সুস্থ থাকতে প্রতিদিন অন্তত চার কোয়া রসুন খান।
২. চর্বি ঝরিয়ে দেয় যদি আপনার দেহে উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল বা চর্বি জমে থাকে, তাহলে রসুনের শরণাপন্ন হোন। এটি আপনার শরীর থেকে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল বের করে ফেলে।
৩. মস্তিষ্কের সুস্থ বিকাশ ঘটায় রসুনের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে অক্সিডেটিভ ড্যামেজ থেকে রক্ষা করে। অর্থাৎ শরীরের অক্সিডেশন বা জারণ প্রক্রিয়াকে কমাতে সাহায্য করে এবং কোষকে স্বাস্থ্যকর রাখে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যও উন্নত করে। রসুন মস্তিষ্কের রোগ আলঝেইমার বা স্মৃতিভ্রংশ ও ডিমনেশিয়া বা স্মৃতিভ্রম প্রতিরোধ করে।
৪. আয়ু বাড়ায় স্বাস্থ্যকর গুণাবলী থাকায় রসুন মানুষকে বেশি বাঁচতে সাহায্য করে। উচ্চরক্তচাপ ও কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ বা ইমিউন সিস্টেমকে সচল রাখে। বিশেষ করে বয়স্ক রোগীদের জন্য রসুন বেশ উপকারী। দিনে অন্তত ১০-১৫ গ্রাম রসুন খাওয়া ভালো। প্রতীকী ছবি
৫. কর্মক্ষমতা বাড়ায় রসুন ক্লান্তি দূর করে শরীরে কাজ করার ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। যাদের হৃদরোগ রয়েছে, তাদের হার্টরেট কমাতে সাহায্য করে এবং দুর্বলতা কাটিয়ে তোলে।
৬. ধাতুর বিষক্রিয়া প্রতিহত করে রসুন শরীরকে ভারী ধাতুর বিষক্রিয়া থেকে রক্ষা করে। এসব ধাতু অঙ্গের ক্ষতি করে থাকে। একটি গবেষণায় দেখা যায়, রসুন গ্রহণকারীদের ভারী ধাতুর বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। এটি একইসঙ্গে মাথা ব্যথা উপশমেও উপকারী।
৭. হাড় শক্তিশালী করে একটি গবেষণায় দেখা যায়, ২ গ্রাম কাঁচা রসুন মেনোপজাল (মাসিক ঋতুচক্রের শেষ সীমায় থাকা) নারীদের ইস্ট্রোজেনের (জরায়ু, স্তন ও প্রজনন অঙ্গের গঠনের ভূমিকা রাখে এমন হরমোন) অভাব দূর করে। এটি হাড়ের ক্ষয় কমাতে সাহায্য করে। বিশেষ করে নারীদের হাড়ের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় রসুন কাজে লাগে।
৮. ছত্রাক সংক্রমণের বিরুদ্ধে কাজ করে রসুন ছত্রাকের সংক্রমণে প্রতিষেধকরূপে কাজ করে। আক্রান্ত স্থানে রসুনের তেল অথবা জেল ব্যবহারে ফল পাওয়া যায়। মুখ ও ঠোঁটের ক্ষতেও রসুনের পেস্ট ব্যবহার করে উপকার পাওয়া যায়।
৯. অ্যালার্জি প্রতিরোধ করে রসুন দেহের জীবাণুনাশক হিসেবেও কাজ করে। অ্যালার্জিজনিত শ্বাসপ্রশ্বাসের প্রদাহ কমাতেও রসুন কাজ করতে পারে। এছাড়াও ফুসকুড়ি, ছোট কামড় ও চুলকানির মতো সমস্যাগুলো থেকে পরিত্রাণ পেতে পারেন রসুনের মাধ্যমেই।
১০. হজমে সাহায্য করে রসুন পাকস্থলীর ঝিল্লিকে উত্তেজিত করে, যার ফলে দ্রুত হজম হতে পারে। রসুন লিভার থেকে টক্সিন (অস্বাস্থ্যকর খাবারের ফলে শরীরে জমা হওয়া অতিরিক্ত বিষ) বের করে দিতে সাহায্য করে।
১১. গড় পুষ্টিগুণ রসুনে নানা পুষ্টিগুণের মধ্যে রয়েছে ম্যাঙ্গানিজ ২৩ শতাংশ, ভিটামিন বি৬ ১৭ শতাংশ, ভিটামিন সি ১৫ শতাংশ, সেলেনিয়াম ৬ শতাংশ এবং ফাইবার ০.৬ গ্রাম। পুষ্টিগুণ বিবেচনায় দিনে অন্তত ১০-১৫ গ্রাম রসুন খাওয়া ভালো। তবে ২০ গ্রামের বেশি খাওয়া ঠিক নয়। অতিরিক্ত রসুন গ্রহণের ফলে শরীরে বিষাক্ততা তৈরি হতে পারে।
No comments:
Post a Comment