রসুন Allium
তথা পেঁয়াজ পরিবারের একটি উদ্ভিদ। ঘ্রাণ আর স্বাদবর্ধক হওয়ার কারণে এর চাষ হয় দুনিয়াজুড়ে। তবে
প্রাচীনকালে কিন্তু রসুন কোনও মসলা ছিল না, ছিল ওষুধ!
মিশরীয় ব্যাবিলীয়, গ্রীক, রোমান এবং চীনাদের
সকল সভ্যতার নানা নথিতে এর ঔষধি গুণের কথা লেখা আছে।
অ্যালিসিন ও প্রজনন ক্ষমতা
আর রসুনের যে উপদানটির এত জয়জয়কার, সেটা হলো অ্যালিসিন। হজমের
অলিগলি পেরিয়ে এই অ্যালিসিনই ছড়িয়ে পড়ে সারা শরীরে। এর প্রভাবে বেড়ে যায় প্রজনন
ক্ষমতা।
পুষ্টি অনেক, চর্বি নেই
রসুন রীতিমতো ভিটামিনের ভাগাড়। তবে এতে নেই ক্ষতিকর বা বাড়তি কোনও চর্বি।
রসুনে যা যা আছে
ম্যাঙ্গানিজ ২৩% (আরডিএ)
ভিটামিন বি৬ ১৭% (আরডিএ)
ভিটামিন সি ১৫%(আরডিএ)
সেলেনিয়াম ৬%(আরডিএ)
ফাইবার ১ গ্রাম
এ ছাড়া ক্যালসিয়াম, কপার, পটাশিয়াম, ফসফরাস, আয়রন ও ভিটামিন বি১ আছে রসুনে।
২৬ গ্রাম রসুনে সবমিলিয়ে ক্যালরি আছে ৪২। প্রোটিন আছে ১.৮ গ্রাম ও কার্বোহাইড্রেট
আছে ৯ গ্রাম।
ঠাণ্ডার শত্রু রসুন
রসুন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। পরীক্ষায় দেখা গেছে প্রতিদিন রসুন খেলে ঠাণ্ডা-জ্বর
সেরে যায় ৬৩% ক্ষেত্রে। এ ছাড়া নানা ধরনের ফ্লুও সারিয়ে তুলতে পারে রসুনের নিয়মিত ডোজ।
রক্তচাপ কমায়
রসুনের উপাদানগুলো রক্তচাপের বহুল ব্যবহৃত ওষুধ অ্যাটিনোনোলের কাজ করে। এক্ষেত্রে
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রতিদিন এক দুই কোয়া রসুন খেলেই যথেষ্ট।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বাড়ায়
বয়স হলে ভুলে যাওয়ার রোগটাকে ঠেকাতে পারে রসুন। রসুনে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট
উপাদান শরীরের নানা কোষের ধ্বংস হওয়া রোধ করে। এতে কমে আসে রক্তের কোলেস্টেরলও। আলঝেইমার্স
ও ডিমেনশিয়ার মতো রোগের হাত থেকেও বাঁচাতে পারে রসুন। সবমিলিয়ে আয়ু বাড়িয়ে দিতে পারে
রসুন।
শরীরের ডিটারজেন্ট
রসুন শরীরের ভেতরে ডিটারজেন্টের কাজ করে। শরীরের ভেতরকার ভারি ধাতুর দূষণ দূর করতে
পারে রসুন। কার ব্যাটারি প্ল্যান্টে কাজ করে এমন কর্মীদের ওপর চালানো গবেষণায় দেখা
গেছে নিয়মিত রসুন সেবনে তাদের রক্ত থেকে ১৯% সিসা দূর হয়েছে।
হাড়ের গঠনে রসুন
ইস্ট্রোজেন হরমোনের নিঃসরণ বাড়িয়ে নারীদের হাড়ের ক্ষয় রোগ ঠেকাতে পারে রসুন। এ
ছাড়া গেঁটে বাত দূর করতেও রসুন ভাল ফল দেয়।
No comments:
Post a Comment